স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে এডিবির ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এছাড়াও বিভিন্ন দাতাসংস্থার কাছ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে এডিবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আমাদের বহু প্রকল্পে কাজ চলছে। এডিবির একটি বড় বিনিয়োগ অংশীদার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তাদের বিনিয়োগ আসে। সিলেটে গত বছরের বন্যায় যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলোর জন্য এবং পানি সমস্যার সমাধানে তারা বিনিয়োগ করেছে। ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায় যেসব অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানকার হোস্ট কমিউনিটির (আশ্রয়দাতা) জন্যও বিনিয়োগ করেছে এডিবি। পৌর এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের বিনিয়োগে আমরা কাজ করছি। এছাড়া জলবায়ু ও দুর্যোগ প্রতিরোধ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বাংলাদেশ জরুরি সহায়তা প্রকল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা এডিবির সঙ্গে কাজ করছি। ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প চলছে।’, যোগ করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আজ আলোচনা চলছে। এসব প্রকল্পে এডিবির ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালে যে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে, সেগুলোর উন্নয়নেও এডিবির বিনিয়োগ থাকবে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১০টি প্রকল্পে এই বিনিয়োগ করবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সিলেটের রাস্তাঘাট উন্নয়নে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেটা এসব প্রকল্পের বাইরে।
গত বছর এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এডিবি যে ঋণ দিচ্ছে, সেটা সফট লোন, যার সুদহার দুই শতাংশের নিচে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণপ্রস্তাব আছে। আমরা সেগুলো বুঝে শুনে নেবো, যেন তা দিয়ে আয় করা সম্ভব হয়। যেমন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্পে কিছুদিন আলোচনা হয়েছে, সেখানে আমরা পয়েন্ট টু-ফাইভে নেগোসিয়েশন করেছি।