পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক ভবন নির্মাণ

ব্যয় বাড়ল ৪৮ কোটি টাকা

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

‘গাবতলী সিটি পল্লিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত চারটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। চার প্যাকেজে মোট ব্যয় বেড়েছে ৪৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩০ টাকা। এরমধ্যে প্যাকেজ-২ এ বেড়েছে ১৩ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৫১ টাকা, প্যাকেজ-৩ এ ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৫ টাকা, প্যাকেজ-৪ এ ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫ হাজার ৬৫৮ টাকা এবং প্যাকেজ-৫ এ ব্যয় বেড়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ২৬ টাকা। এ ব্যয় বাড়াতে সম্মতি দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পৃথক চারটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, গাবতলী সিটি পল্লিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ (৩য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্যাকেজ নং-২ এর ১৬ নং ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৫১ টাকা। যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৬.৩৫১ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬১ টাকা। ব্যয় বেড়ে চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৩১৩ টাকা। বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড এই কাজ করছে। একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্যাকেজ নং-৩ এর ১৬নং ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৫ টাকা। যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৩.৪৭৩ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ০৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৭ টাকা। এই কাজটিও করছে বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড। অপর এক প্রস্তাবে একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্যাকেজ নং-৪ এর ১৬ নং ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ০৫ হাজার ৬৫৮ টাকা। যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৬.৮৫৯ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৫১ কোটি ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৫ টাকা। এই কাজটি করছে এফআই-এমবিএল। এছাড়া প্যাকেজ নং-৫ এর ৪ নং ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ৪ তলা স্কুল ভবন নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বহিরাগত পানি সরবরাহ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় বেড়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ২৬ টাকা। যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৮.৯৯১ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৩২ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৩০৭ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো এমএসসিএল-এমসিপিএল।