সদ্যবিদায়ি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে ৫ হাজার ৫২৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার আয় করেছে যা গত বছরেরে তুলনায় ০.৪৯ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৬৭ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ রপ্তানি আয়ের তথ্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশ করবে।’ তবে তিনি বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬১ কোটি ডলার কম। বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, রপ্তানি গন্তব্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৩ খাতের পণ্যে রপ্তানি প্রণোদনা-নগদ সহায়তা ঘোষণা করে। কিন্তু এবারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নগদ সহায়তা আগের চেয়ে অনেক কম পাবেন রপ্তানিকারকরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও পণ্যগুলোতে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছিল। এ নিয়ে রপ্তানিতে দ্বিতীয়বারের মতো নগদ সহায়তা কমালো সরকার।
উদ্যোক্তাদের মতে, সুদহার বেড়ে যাওয়া, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং বর্ধিত মজুরি কার্যকরের ফলে নানামুখী সংকটে রপ্তানি খাত। এ অবস্থায় প্রণোদনা কমানোয় নেতিবাচক দিক তৈরি হবে রপ্তানিমুখী শিল্পে। কমে যেতে পারে বিনিয়োগ, ঝুঁকিতে পড়বে কর্মসংস্থান।
অন্যদিকে গত সোমবার (১ জুলাই) ‘রপ্তানি নীতি, ২০২৪-২৭’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিন বছর মেয়াদি নতুন নীতির শেষ অর্থাৎ ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।