ভারত সরকার রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমেছে পেঁয়াজ আমদানি। এ বন্দরে প্রতিদিন ৪০-৪৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো যা এখন আমদানি হচ্ছে ১-২ ট্রাক। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে।
হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় তারা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ৪০ শতাংশ শুল্কে প্রতি কেজি পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হয়। ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে নেমে আসবে। গত শুক্রবার স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক এটিএম রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২৫ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তবে স্বল্পপরিসরে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা। কিন্তু ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা। এর সঙ্গে ট্রাক ভাড়া, বাংলাদেশের কাস্টমসের শুল্কসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৭০-৭২ টাকা খরচ পড়ে। ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। হিলি কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৭টি ট্রাকে ২০২ মেট্রিক টন ৪০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।