ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে

জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস গত জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতকাল রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সব সূচকেই জুনের পরিস্থিতি ভালো ছিল। জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭২ শতাংশের মানে হলো- গত বছরের জুন মাসে যেসব পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় কেনা গেছে, চলতি বছরের জুনে সেই একই পণ্য ও সেবা কিনতে একজন ভোক্তাকে ১০৯ টাকা ৭২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এই এক বছরে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কষ্ট সবচেয়ে বেশি বাড়ে। তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। জুন মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, আগের মাস অর্থাৎ মে মাসে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই পুরো সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে, মাঝেমধ্যে কেবল সামান্য একটু ওঠানামা করছে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলছেন মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে। তবে অনেকে মনে করেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত