প্রতিদিন দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। শেষ এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে হয়েছে দ্বিগুণ। বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দাম বাড়ার কারণে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারে এ পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। পেঁয়াজের মজুত বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরাও ভালো মুনাফার আশায় পেঁয়াজ হাতছাড়া না করে ধরে রাখার কৌশল নিয়েছেন। আবার ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানি হচ্ছে কম। এ অবস্থায় মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ ও বাজারে দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি করা না গেলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম। এ অবস্থায়ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে এখনো টনক নড়েনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। দ্রুত বেড়ে চলা এ পণ্যটির দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, ভারত থেকে আমদানি বাড়াতে কোনো উদ্যোগ বা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোনো পদক্ষেপ আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা বলেন, এখনো কিছু চূড়ান্ত নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও কীভাবে পেঁয়াজের দাম কমানো যায় সে পথ খুঁজছে। আমরা আলোচনার মধ্যে আছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এদিকে, সদ্য শুরু হওয়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজসহ অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি পণ্য আমদানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ কমানো হয়েছে।