পিকেএসএফ’র কর্মশালায় অভিমত

অনগ্রসর অঞ্চলে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে। তবে সারা দেশে সমহারে উন্নয়ন হয়নি। হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলো এখনো অনগ্রসর। এসব অঞ্চলে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখনো বেশি। সমতাভিত্তিক উন্নয়নে এসব এ অঞ্চলে বিশেষ মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় গত রোববার এসব কথা বলেন বক্তারা। পল্লী কর্মণ্ডসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির নিজস্ব ভবনে এ কর্মশালার আয়োজন করে। ‘অতিদরিদ্র মানুষের পক্ষে উন্নয়নে সংযুক্ত হওয়ার উপায়’ বিষয়ক কর্মশালাটি পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের আওতায় আয়োজন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিচ্ছে। ২০২২ সালে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার। কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনো বেশি। এসব এ অঞ্চলে বিশেষ মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফ’র যত অভিজ্ঞতা ছিল, সব কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প সম্পর্কে ড. নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।