কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে প্রত্যয় স্কিম প্রবর্তন করেছে সরকার। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা ২০২৫ সালের জুলাই মাসে যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত হতে হবে। গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা প্রজ্ঞাপনে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যোগদান করা চাকরিজীবীদের কথা উল্লেখ করে প্রত্যয় স্কিম চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়ে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩-এর আওতায় গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন। সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গ সংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরাও সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় যারা নতুন কর্মচারী হিসেবে ১ জুলাই ২০২৫ সালে তৎপরবর্তী সময়ে চাকরিতে যোগদান করবেন তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, অর্ধদিবস কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ, সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে লাইব্রেরিও। ফলে অচলাবস্থায় পড়েছে দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে চরম ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা। তারা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।