মূল্যস্ফীতি কমে আসায় চীন ও কানাডার পর এবার যুক্তরাজ্যেও কমলো নীতি সুদহার। অন্যতম নীতি সুদহার ‘ব্যাংক রেট’ ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয়া হয়। গত চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এটিই প্রথম নীতি সুদহার কমানোর ঘোষণা। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ যথেষ্ট কমে এসেছে। তাই সুদহার কমাতে পেরেছেন তারা। মূল্যস্ফীতির হার নিম্ন পর্যায়ে থাকছে এমনটি নিশ্চিত হয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। দ্রুত বা স্বল্প সময়ের মধ্যে সুদহার নাও কমতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানেই থাকবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এর আগে গত সপ্তাহে নীতি সুদহার কমায় চীন ও কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পিপলস ব্যাংক অব চায়না এক বছরের মধ্যমেয়াদি ঋণ সুবিধার (এমএলএফ) হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশে এনেছে।
এর কয়েক দিন আগেই সাত দিন মেয়াদি রিভার্স রেপোর সুদহার ১ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ নির্ধারণ করে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক অব কানাডা গত বুধবার নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। এ সুদহার নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসে নীতি সুদহার কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।
মূল্যস্ফীতি কমাতে গত দুই বছর দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়ায় বিভিন্ন দেশ। অনেক দেশ এর ফল পেয়েছে। তাদের চাহিদা ও সরবরাহ দু’দিককার ব্যবস্থাপনাই ঠিক থাকায় কমে এসেছে মূল্যস্ফীতি। এবার বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করার পালা। তাই নীতি সুদহার কমানো হচ্ছে এসব দেশে।