দেশে ডলার সংকট কাটছেই না। নতন করে রেমিট্যান্সের প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে। গত কয়ক দিনে প্রবাসীদের কাছ থেকে আসা রেমিট্যান্সের গতি কমেছে। এর চাপ তৈরি হয়েছে রিজার্ভের ওপর। অন্যদিকে, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় খোলাবাজারে ডলারের দাম দুদিনে তিন টাকার বেশি বেড়েছে। বর্তমানে দাম বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
যদিও গত বুধবার মানি চেঞ্জারগুলোর সংগঠন মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে খুচরা প্রতি ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৯ টাকার বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তবে মানি চেঞ্জারগুলোতে বেঁধে দেয়া দামে ডলার মিলছে না। উল্টো দাম আরো বেড়েছে।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, দিলকুশা ও ফকিরাপুল ঘুরে এসব এলাকার মানি চেঞ্জারগুলোতে বেঁধে দেয়া দামে ডলার বেচাকেনা করতে দেখা যায়নি। যদিও এসব এলাকার মানি চেঞ্জারগুলোতে ডলার বেচাকেনা তেমন একটা চোখেও পড়েনি। তবে সেসব এলাকার অলিগলি পথগুলোতে খোলাবাজারে প্রতি ডলার মিলছে ১২৫ থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
জানতে চাইলে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে আমরা একটা দর বেঁধে দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সে দরে বেচাকেনা না হলে আমরা কী করতে পারি? তাছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসেন, তারাই আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করেন। এখন বিদেশ থেকে মানুষ আসা কমে যাওয়ায় ডলারের সরবরাহও কম। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ডলার মিলছে না। তবে ব্যাংকগুলো আমাদের ১১৮ টাকায় ডলার দিলে আমরা ১১৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারবো। অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সব মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ১১৯ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।
যদি কোনো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান এ নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সব সদস্যকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এদিকে, ডলারের বাজার অস্থির হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। এর আগেও বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে সেসময়ও অভিযান পরিচালনা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং সিলগালাও করা হয়।