দেশ-বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে হবে
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সফলতা পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এখন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক আমদানি-রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার জেরে কারফিউয়ের কারণে রাজধানীর শপিং মলগুলো বন্ধ ছিল, ক্রেতা নেই। যারা পাড়া-মহল্লায় দোকান খুলেছিলেন, তারাও ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন। একই অবস্থা হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাদ্যপণ্যের বাজারেও। এসব জায়গাতেও মানুষ কম গেছে। এতে সার্বিকভাবে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অস্থিরতার আতঙ্কে বাজারে আসছেন না মানুষ। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট। এ এলাকায় অনেকগুলো মার্কেট থাকায় মানুষের সমাগমও থাকে সবচেয়ে বেশি। তবে গতকাল এ এলাকায়ও মানুষের আনাগোনা ছিল কম। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, চলমান অস্থিরতায় রপ্তানিকারকরা পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে বিদেশি ক্রেতারা অনিশ্চয়তা ও উদ্বিগ্নের মধ্যে আছেন। তিনি জানান, পণ্য সরবরাহ ও জাহাজীকরণের সময়সীমা মেনে চলতে না পারায় রপ্তানিকারকদের পণ্যের দামে ছাড় ও বন্দর বন্ধ থাকায় পোশাক খাতে সরাসরি ৮০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, অস্থিরতার কারণে গত ১২ দিনে অন্তত ৩০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।
নিউমার্কেট এলাকার নূরজাহান শপিং কমপ্লেক্স-এর বিক্রেতা পারভেজ হোসেন বলেন, কারফিউয়ের কারণে বেচাকেনা নাই। ২০ শতাংশ বিক্রিও এখন হয় না। মানুষ গ্যাঞ্জামের কথা শুনে বের হচ্ছে না। রাজধানীর রাপা প্লাজার ছোঁয়া বুটিকসের স্বত্বাধিকারী মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার খুবই খারাপ অবস্থা।