গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি টানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরের কার্যালয়ে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতার ছবি টানানো হয়।
যদিও গত কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে নানাবিধ ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ডা. ইউনুসকে। গতকাল বিকালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাংকের প্রবেশ পথের বাঁ পাশের দেওয়ালজুড়ে ড. ইউনূসের বড় একটি ছবি টানানো হয়েছে। গেটের পাশে উপস্থিত কয়েক জন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বেলা ১টার দিকে এই ছবি টানানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, সব কথা বলা যায় না। মূলত বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ বিশেষ ক্ষমতায় ব্যাংকটি দখল করে রেখেছিলেন। এই ব্যাংকে জায়গা করে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছিলেন তিনি আর কিছু লোক। গত পরশু তিনি এখান থেকে পালিয়ে যান। আমরা তাকে ধরতে পারিনি। ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ব্যবসার গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর অধীনে নিবন্ধিত প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তিনি ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন দীর্ঘদিন। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী বিশেষায়িত সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক। ১৯৮৩ সালে এটি একটি বৈধ এবং স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০০৬ সালে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখায় গ্রামীণ ব্যাংক এবং মুহাম্মদ ইউনূস যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর তাকে ঘিরে নানা আলোচনা রয়েছে। এরই মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।