শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পাচারকারীরা অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তাদের হিসাব স্থগিত রাখার বিষয়ে দাবি তোলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন তাকে।
এদিন সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিত তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এটা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সরকারের কাছেই তারা পদত্যাগ করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানানো হবে। সে পর্যন্ত তারা নিজ নিজ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। আর বিবি অপারেশনাল কাজ আছে, এটা পরিচালক পর্যায়ে করে থাকেন, সেটা চলমান। এছাড়া পলিসিগত কাজ ডেপুটি গভর্নরের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, পে স্কেল, অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ, সুবিধাবঞ্চিত বিষয়ে দাবি আছে কর্মকর্তাদের। এ কারণে কর্মকর্তারা গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছেন। যেহেতু এসব পদ সরকারের চুক্তিভিত্তিক, তাই অন্তর্বর্তী সরকার এলে কর্মকর্তাদের দাবি জানানো হবে। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গভর্নর দুই দিন ধরে অনুপস্থিত, তিনি কোথায় বা কীভাবে তার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে- জানতে চাইলে মেজবাউল হক বলেন, গভর্নর না থাকলেও ডেপুটি গভর্নররা স্ব স্ব পদে কাজ করতে পারেন। আমাদের অপারেশনাল কাজ চলমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। এস আলম গ্রুপের হাতে কুক্ষিগত ৭ ব্যাংকে দেয়া অবৈধ সুবিধার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে তার কাছে জানতে চাওয়া কীভাবে চলতি হিসাবের ঘাটতি থাকার পরও এসব সুবিধা পেলো ব্যাংকগুলো। এর জবাবে মুখপাত্র বলেন, আইনি সংস্কার প্রয়োজন আছে। অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার গঠন হলে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। এখনো অর্থপাচারকারীরা তাদের অর্থ উত্তোলন করে নিচ্ছেন, তাদের হিসাব কেন স্থগিত করা হচ্ছে না, জানতে চাইলে এমন প্রশ্ন মেজবাউল হক প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা নিয়ে করা প্রশ্নেরও উত্তরা না দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেন মেজবাউল হক।