বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আবারো শুরু

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন আবারো শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গে পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই লেনদেন শুরু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য স্থগিত হয়ে যায়। তবে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর হয়ে বাণিজ্যিক লেনদেনের কার্যক্রম আংশিক শুরু হয়। তবে পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেই কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, পেট্রাপোল বন্দর হয়েই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হয়েছে। গতকাল উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে অচলাবস্থা নিরসনে একটি বৈঠক হয়।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্য আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বুধবার হিলি, চেংরাবান্ধা, মাহাদীপুর, ফুলবাড়ী এবং গোজাডাঙ্গার মতো স্থলবন্দরে বেশির ভাগ পচনশীল পণ্যের বাণিজ্য আংশিকভাবে পুনরায় শুরু হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বড় আকারের বিক্ষোভের পর উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির কারণে ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বাংলাদেশের সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গত মঙ্গলবার পেট্রাপোল পরিদর্শন করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ও ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ২১ বিলিয় ডলা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ১১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো- শাকসবজি, কফি, চা, মসলা, চিনি, মিষ্টান্ন, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, রাসায়নিক, তুলা, লোহা, ইস্পাত এবং যানবাহন। বিপরীতে, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি কয়েকটি বিভাগে কেন্দ্রীভূত, তাদের চালানের ৫৬ শতাংশই টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস পণ্য।