আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১৩ দপ্তর ও সংস্থাকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এসব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। গতকাল রোববার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা এ আল্টিমেটাম দেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা এতদিন নানা ধরনের অন্যায়, অনিয়মের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমাদের শপথ করতে হবে আমরা আর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অন্যায়, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, দখলদারি করব না। এটা আমাদের মনে ধারণ করতে হবে। তারপর রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। তা না হলে আমাদের এত আত্মত্যাগ, এত জীবন, এত কান্না, বিপ্লব বৃথা হয়ে যাবে। এ সময় তিনি বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেন। সেগুলো হলো-
১. বিপ্লবী ছাত্র-জনতা টিম করে প্রতিটি শহর, জেলা, উপজেলা, পাড়া, মহল্লায় বাজার মনিটরিং করাবে। তবে তারা কাউকে জরিমানা করতে পারবে না। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না।
২. প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা। ৩. প্রতিটি বিক্রেতার নিত্যপণ্য ক্রয়ের রশিদ রাখা। ৪. প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানো। ৫. কেউ বাজার, রাস্তা, দোকান দখল করে ব্যবসা করলে তাকে উৎখাত করা। ৬. রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা। সেটি প্রতিরোধ করা। ৭. প্রতিটি এলাকাভিত্তিক মূল্য তালিকা দেওয়া। যাতে কেউ বেশি দাম নিতে না পারে। ৮. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানো। ৯. দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা।