বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। ২০২০ সাল থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান পদে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক গত শনিবার রাত ১১টার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে শিবলী যুগের অবসান হয়েছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও চলতি বছরের ২৮ মে তাকে ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে প্রথমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয়। বিএসইসির আগে তিনি সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য এবং কোষাধ্যাক্ষ হয়েছেন। পাশাপাশি বাণিজ্য অনুষদের ডিন হিসেবে চারবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে শিবলী রুবাইয়াত কর্মস্থলে যোগ দেননি।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেওয়ার দিনই অর্থাৎ ৩ আগস্ট তিনি সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরেন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে নানা অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে বিদেশি রোড শো করার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। শেয়ারবাজারে কারসাজিকারকদের নানাভাবে সহায়তা করে কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
পদত্যাগের আগেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে বিশেষ সুবিধা দিতে শিবলী রুবাইয়াতুল কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তিনি সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সালমান এফ রহমানকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধা করে দিতেই কার্যালয়ে না এসেও বাসায় বসে তিনি এ আদেশ জারি করেন।