শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে কোটি কোটি টাকা অনুদান দিলেও, নিজেদের শ্রমিকদের বছরের পর বছর বঞ্চিত করে আসছে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি)। গত মঙ্গলবার বিএটির ঢাকা ও সাভার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের আন্দোলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে এমন তথ্য। বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৫ দফা দাবিতে রাতভর আন্দোলন করছে শ্রমিকরা। গতবছর ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করলেও নিজেরদের শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেখানে পরোক্ষ ধূমপান মৃত্যুর অন্যতম কারণ, সেখানে তামাক কোম্পানিতে কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের তামাক চাষ ও তামাক কোম্পানিতে কাজে আকৃষ্ট করছে। পাশাপাশি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কূটকৌশলের প্রভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশেষ করে তরুণ সমাজ। তামাকই পৃথিবীর একমাত্র বৈধ পণ্য, যা অবধারিতভাবে তার ভোক্তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই তামাক কোম্পানিগুলো নতুন তামাকসেবী তৈরির লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাক পণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও এর কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তার তামাক কোম্পানিকে ছাড় দেয়ার মানসিকতাও এর জন্য দায়ী।