বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ কমানোর জন্য সরকার কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নেয়া রাশিয়ার ঋণ পরিশোধের সময় দুই বছর পিছিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে এরইমধ্যে রাশিয়ার সম্মতি পাওয়া গেছে। সময় বাড়ানোর ফলে সরকারের প্রায় ৮০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে, যা ইআরডি সূত্রে জানা গেছে। ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, ঋণচুক্তির সংশোধনের কাজ চলছে এবং একটি খসড়া চূড়ান্ত করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চীনা মুদ্রায় এই ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা ছিল, তবে এখন এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এই ঋণচুক্তি হয় এবং ঋণের অর্থ ২০১৭ থেকে আসতে শুরু করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, ঋণের আসল পরিশোধ ২০২৯ সালের মার্চ থেকে শুরু হবে।
চীনা ঋণ : চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
গত এক বছরে চীনের সঙ্গে নতুন কোনো ঋণচুক্তি হয়নি এবং চীনা ঋণের বিষয়েও কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, কোভিড এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে, যা ঋণের আসল পরিশোধ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। চীনা ঋণের বিষয়ে নতুন যাচাই-বাছাই চলছে এবং এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চুক্তি ও পরিশোধের তথ্য : রূপপুর প্রকল্পের ঋণের আসল পরিশোধ ২০২৭ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা।
তবে, প্রকল্পের কাজে বিলম্ব হওয়ায় এটি দুই বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। চীনা ঋণের ক্ষেত্রে, গত এপ্রিল মাসে চীন ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।