দেশের শেয়ারবাজারের পতন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর ফলে সবকটি মূল্যসূচক হ্রাস পেলেও, লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে শুরু করে, যার ফলে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের কিছু সময়ে সূচকটি সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হলেও, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে বাজার আবারো পতনের ধারায় ফিরে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ পতন অব্যাহত থাকে, যার ফলে দিনের শেষে ডিএসই’র সবকটি মূল্যসূচক কমে যায়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে, এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এর ফলে ডিএসইএক্স সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ৫,৬৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে, বাছাই করা ৩০টি কোম্পানির ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ২,০৮৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। একই ভাবে, ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১,২১৭ পয়েন্টে নেমেছে। শেয়ারবাজারে পতন সত্ত্বেও, ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাজারটিতে দিনের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৫৫৮ কোটি ৩ লাখ টাকার তুলনায় ১৯২ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। লেনদেনের শীর্ষে ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ১২ লাখ টাকার। দ্বিতীয় অবস্থানে গ্রামীণফোনের ৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকার। এ ছাড়া, লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, এমজেএল বাংলাদেশ, এনসিসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনআরবি ব্যাংক, এবং রবি। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইতেও পতন অব্যাহত রয়েছে। সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১০৬ পয়েন্ট কমে গেছে।