ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগী

ঋণ ছাড় কম পরিশোধ বেড়েছে ৫২ শতাংশ

ঋণ ছাড় কম পরিশোধ বেড়েছে ৫২ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণ ছাড়ের তুলনায় বাংলাদেশ বেশি পরিমাণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা মোট ৩৫৮.৩৩ মিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় করেছে। এর বিপরীতে, একই মাসে বাংলাদেশ ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে, যার মধ্যে সুদ ও আসল দুইটাই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম থাকে, যা অর্থছাড়েও প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, জুলাই মাসজুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতাও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই জুলাই মাসে অর্থছাড় ১১.৫২ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে ইআরডির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে চীন থেকে নেয়া ঋণের আসল পরিশোধ বেড়ে গেছে, যা সামগ্রিক পরিশোধের পরিমাণকে প্রভাবিত করেছে।

গত অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায়, এই বছরের জুলাই মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ৫২.৩৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ২৫৩.০৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল, যা এই বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন ডলার। বিশেষ করে আসল পরিশোধের ক্ষেত্রে ৮০.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইআরডির তথ্যমতে, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে জাপান, যার পরিমাণ ছিল ১০৫ মিলিয়ন ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৮১.৫৬ মিলিয়ন ডলার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৬৪.৫৭ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ৩৮.৩৯ মিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ২৯ মিলিয়ন ডলার, এবং ভারত ২১.৫৯ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। তবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে কোনো ঋণ চুক্তি সই হয়নি, যদিও অনুদান হিসাবে ১৬.৪০ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত