জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশের পণ্য পরিবহনে সৃষ্ট বিঘ্ন বাজারে উচ্চমূল্যের চাপ তৈরি করেছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় পেঁয়াজ, আলু, এবং কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কীটনাশকের উপর প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআর আরো জানিয়েছে, আলু আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও তুলে নেয়া হয়েছে। পেঁয়াজের আমদানির ক্ষেত্রে পূর্বে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রযোজ্য ছিল, যা এবার সম্পূর্ণভাবে তুলে নেয়া হয়েছে। তবে পেঁয়াজের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পণ্য পরিবহনে আরো বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
এসব কারণে পণ্যের সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ায় দাম বেড়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে এনবিআর এই শুল্ক ছাড়ের পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার আশা করছে, এই শুল্ক ছাড়ের ফলে পেঁয়াজ ও আলুর বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে আসবে এবং আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা কার্যকর থাকবে। এ ছাড়াও কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহিত করতে দীর্ঘমেয়াদে প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর। এই পদক্ষেপের ফলে বাজারে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।