ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৩১ হাজার কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতিতে ১০ ব্যাংক

৩১ হাজার কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতিতে ১০ ব্যাংক

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে চলতি বছরের জুন শেষে ৩১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই ঘাটতি মূলত ১০টি ব্যাংকের মধ্যে দেখা গেছে, যার মধ্যে ছয়টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে।

যেসব ব্যাংকে রয়েছে ঘাটতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, যেসব ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে সেগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ : ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে আমানতের ওপর নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। শ্রেণিকৃত ঋণের ওপর ভিত্তি করে প্রভিশনিংয়ের হার ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত হতে পারে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে প্রভিশন ঘাটতি ৪,৯৬৩ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকায়, যা মার্চের শেষে ছিল ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও প্রভাব : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ২,১১,৩৯১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা মোট ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণও মার্চের শেষে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে জুনে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ : খেলাপি ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর, যাদের কাছে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ শ্রেণিকৃত হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও ৩ হাজার ২২৯ কোটি টাকার শ্রেণিকৃত ঋণ দেখা গেছে।

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ : বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতি এবং ঋণ খেলাপি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ কমাতে এবং প্রভিশন ঘাটতি পূরণে কঠোর নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত