এলসি মার্জিন তুলে দেয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিনিধি

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে কয়েকটি বিলাসবহুল পণ্য ও বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, এমন কিছু পণ্য ছাড়া সব ধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে পণ্য আমদানি পর্যায়ে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা অনেকাংশে নিরসন হবে এবং শিল্পায়নে গতিসঞ্চার হবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাত উন্নয়নের আর্থিক সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ এখাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন আরও সহজ হবে বলে প্রত্যাশা করছে ডিসিসিআই। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে আমদানিকারকরা সব ধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোক্তাপণ্য, মূলধনী কাঁচামাল-ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়া আমদানি করতে পারবে। এ ছাড়া আমদানি বাড়লে নতুন বিনিয়োগ, পুনর্বিনিয়োগ, মূলধনী যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতাসহ সামগ্রিক উৎপাদন বাড়বে। ফলে রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হবে প্রত্যাশা করছে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। এইক সঙ্গে শিল্প-কলকারখানাগুলোয় কাঁচামালের সরবরাহ বাড়বে। ফলে শিল্পকারখানাগুলো পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে পারবে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়বে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির ওপর। অন্যদিকে দেশের আর্থিক খাতে চলমান তারল্য সংকট, বিশেষ করে সিএমএসএমইদের সহজ ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা কারণে এমনিতেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ যখন কমেছে, ঠিক তখন ‘আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’-এর আওতায় এ ধরনের একটি উদ্যোগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি। এ ছাড়া সিএমএসএমই খাতের পণ্য ও সেবার উৎপাদন, আয় ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য এই তহবিল কাজে আসবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়াতে, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের চাহিদা মেটাতেও এ তহবিল বেশ সহায়ক হবে। বিশেষ করে সিএমএসএমইর জন্য এই তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সুদহার কোনোক্রমেই ৮ শতাংশের বেশি হবে না এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সুপারভিশন চার্জ, এমনকি আর্লি সেটেলমেন্ট ফি আরোপ করা যাবে না, যা সিএমএসএমইদের জন্য স্বস্তির বিষয়। ডিসিসিআই বিশ্বাস করে, সিএমএসএমই খাত দেশের অর্থনীতির মূল চলনশক্তি। বিশেষ করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাতকে এ সুবিধা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক সুফল পরিলক্ষিত হবে।