শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার শিল্প উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সাক্ষাৎকালে শিল্প উপদেষ্টা জানান, নেদারল্যান্ডস দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি ১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চতর অবস্থায় উত্তরণ করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূত জানান, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশি টেক্সটাইল এবং পোশাকের অন্যতম প্রধান ইউরোপীয় আমদানিকারক রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ তৈরি পোশাক নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি করে। নেদারল্যান্ডস ধারাবাহিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ইইউ-তে তৈরি পোশাক রপ্তানির মোট মূল্য ছিল প্রায় ১৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি উন্নত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে পোশাক ব্যবসার একটি সম্ভাব্য আঞ্চলিক কেন্দ্র (হাব) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। রাষ্ট্রদূত আরো জানান, টেক্সটাইল খাতের যন্ত্রপাতি, ওষুধ শিল্প, দুগ্ধজাত পণ্য, রাসায়নিক দ্রব্যাদি নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে রপ্তানি করে। পণ্য, সরঞ্জাম ও পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য বাংলাদেশে বিশাল বাজার রয়েছে। তিনি সার্কুলারিটি টেক্সটাইলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ জন্য একটি বিশেষায়িত দল গঠন করার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইসিটি খাত ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে, এ সুযোগকে কাজে লাগানোর বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, এসএমই, সিরামিক, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে নেদারল্যান্ডসকে আরো বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।