ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার

দেশের বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা

দেশের বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা

ভারত সরকার দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল, যার প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে। তবে সম্প্রতি এই শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত, যা বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাংলাদেশি অংশীদারদেরকে এই পরিবর্তনের বিষয়ে অবহিত করেছেন। ভারতে পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভারত সরকার চলতি বছরের ৪ মে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও, সেই সঙ্গে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বাংলাদেশে এর মূল্য কমেনি। শুল্কের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, যা দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। ভারত থেকে আমদানি সীমিত হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মিশর, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে শুরু করেন। তবুও, এই আমদানি বাজারে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, কারণ বিকল্প দেশগুলোর পেঁয়াজের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। ফলে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। ভারত সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আবারো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানিকারকরা মনে করছেন, এর ফলে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং দাম কমবে। ইতোমধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ভারত সরকার রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেয়, যার প্রভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। এরপর ৭ ডিসেম্বর ভারতে বন্যা ও পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমার ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেন। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুদিন আগে, ২৩ মার্চ, সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে, চলতি বছরের ৪ মে ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও, ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপিত রাখে। শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি থেকে যায়, যার ফলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। ভারতের শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ সরবরাহ থাকলে মূল্য স্থিতিশীল হতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত