ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পোশাক কারখানায় অস্থিরতার

তিন কারণ শিগগিরই সমাধানের আশ্বাস
পোশাক কারখানায় অস্থিরতার

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতার জন্য তিনটি মূল কারণ চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনী। তবে এই সংকট নিরসনে শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। গতকাল শনিবার আশুলিয়ার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পোশাক কারখানাগুলোর বর্তমান অস্থিরতা ও উত্তরণের পথ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অস্থিরতার কারণসমূহ : সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান সভায় জানান, পোশাক শিল্পের অস্থিরতার পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। এগুলো হলো-

বহিরাগতদের আক্রমণ : শিল্পে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ ও আক্রমণের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

শ্রমিকদের যৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবি : শ্রমিকদের কিছু দাবি যৌক্তিক হলেও কিছু অযৌক্তিক দাবি পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করছে।

ঝুট ব্যবসার আধিপত্য : পোশাক শিল্পের ঝুট ব্যবসার প্রভাব ও আধিপত্যও অস্থিরতার একটি কারণ।

তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের আক্রমণ অনেকাংশে কমেছে, তবে অন্যান্য কারণগুলো সমাধান না হলে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

সমাধানের উদ্যোগ : সভায় উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ উদ্যোক্তা ও শ্রমিক নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয় যে, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শ্রমিকদের দাবির ন্যায্য সমাধান খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে।

শিল্প পুলিশের মতামত : শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, একটি বিশেষ চক্র সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পোশাক কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টারা নজর দিচ্ছেন। উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে শিগগিরই পোশাক শিল্পের অস্থিরতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সভায় আশ্বাস দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত