দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে কারখানা বন্ধ রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। গতকাল শনিবার বিজিএমইএ ভবনে পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত : শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামীকাল থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ তিনি আরো জানান, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নেবে এবং কোনো কারখানা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করলে তা সরকারকে বিপদে ফেলার অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হবে।
১৩(১) ধারার প্রয়োগের ইঙ্গিত : মতবিনিময় সভায় পোশাক শিল্প মালিকরা জানিয়েছেন, যদি শ্রমিকদের কারণে কোনো কারখানায় অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় এবং সেটি বন্ধ করতে হয়, তবে তারা শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা বাস্তবায়ন করবেন। এই ধারায় বলা হয়েছে, বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক কোনো প্রতিষ্ঠানের শাখা বা বিভাগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারবেন এবং এই বন্ধকালীন ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা মজুরি পাবেন না।
সরকারের হুঁশিয়ারি : শিল্প উপদেষ্টার বক্তব্যের পর তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকার এবং দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কেউ কারখানা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করলে তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’ তিনি আরো বলেন, দেশের শিল্প খাত রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এই সভায় উপস্থিত সবাই সংকট সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন, যাতে দেশের অর্থনীতি এবং পোশাক শিল্পের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।