ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি অব্যাহত

বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি অব্যাহত

বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অয়েল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রঞ্জিত রাঠ। গত শুক্রবার কোম্পানির ৬৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন তিনি। রাঠ জানান, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ চলছে এবং ডিজেল পরিবহনে কোনো বাধা নেই। এই পাইপলাইন প্রতিমাসে ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল বাংলাদেশে রপ্তানি করে। রঞ্জিত রাঠ বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ডিজেল সরবরাহের জন্য একটি ঋণপত্র চালু আছে এবং পাইপলাইনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের প্রকল্প সফলভাবে চলমান রয়েছে এবং ডিজেল পরিবহণে কোনো বাঁধা-বিপত্তি দেখা যায়নি।’

অয়েল ইন্ডিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আসামণ্ডভিত্তিক নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) গত বছরের মার্চ মাসে উদ্বোধন হওয়া ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল রপ্তানি করে। বাংলাদেশ প্রান্তে পার্বতীপুর থেকে ডিজেল সংগ্রহ করা হয়। এই পাইপলাইন প্রতি বছরে এক মিলিয়ন টন ডিজেল পরিবহনের সক্ষমতা রাখে। এনআরএল বর্তমানে তাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩ মিলিয়ন টন থেকে ৯ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নির্মাণকাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে এবং ২০২৭ সালের মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাস প্রকল্প থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ সংগ্রহের খবরও তুলে ধরেন রাঠ। ইউক্রেন সংঘাতের কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এই অর্থ মস্কোর স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে রাখা হয়েছে এবং তা এখনো দেশে ফেরানো হয়নি।

অয়েল ইন্ডিয়া রাশিয়ার ভানকর্নেফ্ট ও তাস-ইউরিয়াখে অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ভানকর্নেফ্ট থেকে প্রায় ৮৬ শতাংশ এবং তাস-ইউরিয়াখে ১০০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে এই তহবিল ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। অয়েল ইন্ডিয়া তাদের খনন কার্যক্রমও প্রসারিত করছে।

গত অর্থবছরে ৬১টি কূপ খনন করেছে, যার মধ্যে ১৭টি তেল অনুসন্ধানকারী এবং ৪৪টি উন্নয়নমূলক কূপ। এ বছর ৭৫টির বেশি কূপ খননের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি বিকল্প জ্বালানি পোর্টফোলিও তৈরি করছে। নুমালিগড় রিফাইনারি দেশের প্রথম বায়োফুয়েল রিফাইনারি স্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা বাঁশকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে। এই বায়ো রিফাইনারি চলতি মাসের শেষের দিকে উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পরিশোধিত জ্বালানি প্রকল্পে ২৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে অয়েল ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত