বাংলাদেশের বাজারে দাম কমছে পেঁয়াজের
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত পেঁয়াজের ওপর আরোপিত সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ও শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত শুক্রবার ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলারের শর্ত বাতিল করে এবং রপ্তানির ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। নতুন আদেশের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যে কোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন। ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়েছে। শনিবার দেশের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০০-১০৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগেই দাম ছিল যথাক্রমে ১২০ টাকা এবং ১২০ টাকা। ভারত অতীতে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল।
চলতি বছরের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয় এবং ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এখন এই শর্ত বাতিল ও শুল্ক কমানোর পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রধান ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের নতুন সিদ্ধান্তের প্রভাবে দেশে পেঁয়াজের দাম কমছে। পাইকারি ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র ঘোষ জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত বাতিলের খবর নিশ্চিত হয়েছে এবং শুল্ক কমানোর তথ্যও পাওয়া গেছে।
এখন দেখতে হবে ভারতের ব্যবসায়ীরা প্রতি টন পেঁয়াজের দাম কত নির্ধারণ করেন। দাম কমলে বাজারে আরও সুবিধা হবে। এছাড়া, হিলির স্থানীয় বাজারে ভারতীয় নাসিক ও ইন্দোর পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮৪-৮৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় এই দাম ১০ টাকা কমেছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের প্রধান ক্রেতা। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যায়, যা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলে।