বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেট সহায়তা এবং ব্যাংকিং খাতের তারল্য সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিসের নেতৃত্বাধীন সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একটি ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
তারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় দাতাগোষ্ঠী। আলোচনার মাধ্যমে তারা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঋণ সহায়তা কিছুটা চলতি বছরেই পাওয়া যাবে এবং বাকিটা আগামী বছরের মধ্যে।’ ব্যাংকিং খাতের তারল্য সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রতিনিধিরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও, আরো কিছু আলোচনা বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকলেও তা বাস্তবায়নযোগ্য এবং দেশের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।’ অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশকে আর্থিক খাত সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ১০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এই ঋণের মধ্যে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার পলিসি বেসড লোন এবং বাকি ২৫০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে প্রদান করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে, বাংলাদেশকে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শর্তগুলো হলো- বেসরকারি খাতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন করা, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা এবং নতুনভাবে গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করা। এই সহায়তা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।