বিদেশি ব্যাংকগুলোর এলসির দায় পরিশোধ করা হবে
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার পরিবর্তনের পর ঋণপত্র (এলসিতে) কনফারমেশন দেয়া নিয়ে কিছু বিদেশি ব্যাংকের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বিদেশি ব্যাংকগুলোর এলসি’র দায় পরিশোধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশ কখনো খেলাপি হয়নি। আগামীতেও এলসির দায় পরিশোধ করতে সমস্যা হবে না, দায় পরিশোধ করা হবে। ঋণপত্র নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা কাটাতে ‘মিট দ্য গভর্নর’ শীর্ষক বিশেষ এক ভার্চুয়াল সভায় বিদেশি ব্যাংকগুলোকে এভাবেই আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ১২২ জন অংশ নেন। সভায় ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিছু ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
তারল্য সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোর সমস্যা কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান। মানুষের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে রিজার্ভের উন্নতি হতে শুরু করেছে। যেসব বকেয়া রয়েছে, সেগুলো দ্রুত পরিশোধ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, সরকার ও সরকারি ব্যাংকের কাছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর যে পাওনা রয়েছে, তা কী ভাবে পরিশোধ করা হবে, বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকগুলো গভর্নরের কাছে সে বিষয়ে জানতে চায়।
তখন গভর্নর বলেন, এরই মধ্যে ৮০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সব মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দায় পরিশোধ হয়ে যাবে। সরকার পরিবর্তনের পর ঋণপত্র কনফারমেশন দেয়া নিয়ে কিছু বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। দুবাইভিত্তিক কিছু ব্যাংক ঋণপত্রের বিপরীতে কনফারমেশন দেয়া স্থগিত রাখে। তাদের নিশ্চয়তার বিপরীতে খোলা ঋণপত্রের অর্থ সময়মতো পাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
বিশেষ করে, যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, সেগুলোর ঋণপত্র নিতে চাচ্ছিল না বিদেশি ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতেই গভর্নর ঋণপত্রের দায় পরিশোধে সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করছেন।