বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২২৯

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আরো দুটি তৈরি পোশাক ও একটি সুতা তৈরির কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ অর্জন করেছে, যা দেশের পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা ২২৯-এ উন্নীত করেছে। এই তিনটি কারখানা হলো নারায়ণগঞ্জের অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড, গাজীপুরের সেপাল গার্মেন্টস লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেডের দ্বিতীয় ইউনিট। তিনটি কারখানাই যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড ৬৩ নম্বর নিয়ে গোল্ড সনদ অর্জন করেছে। সেপাল গার্মেন্টস লিমিটেড ৮৫ নম্বর নিয়ে লিড প্লাটিনাম সনদ এবং ইউনিটেক্স স্পিনিং ৮৩ নম্বর পেয়ে লিড প্লাটিনাম সনদ লাভ করেছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬১টি বাংলাদেশে অবস্থিত।

২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ২২৯টি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে, যার মধ্যে ৯১টি লিড প্লাটিনাম সনদ, ১২৪টি লিড গোল্ড সনদ, ১০টি লিড সিলভার সনদ এবং ৪টি কারখানা সাধারণ সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। গত ১৬ আগস্ট সর্বশেষ সাদাতিয়া সোয়েটার্স ও এক্সিকিউটিভ গ্রিনটেক্স লিমিটেড নামক দুটি কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ অর্জন করে। সাদাতিয়া সোয়েটার্স ৯১ নম্বর নিয়ে লিড প্লাটিনাম সনদ এবং এক্সিকিউটিভ গ্রিনটেক্স ৬৯ নম্বর নিয়ে লিড গোল্ড সনদ লাভ করে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এসএম সোর্সিং বিশ্বের সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া, ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সূচনা হয় ২০১২ সালে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধা এই উদ্যোগের পেছনে ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয় এবং আজ দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য উন্নতির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের শিল্প খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।