ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার জব্দ

ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার জব্দ

ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এই শেয়ারগুলো ব্যাংকটির মালিক এস আলম (সাইফুল আলম) পরিবারের এবং তাদের নামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে, যা শেয়ারের দাম বাড়তে সহায়তা করছে। মাত্র দেড় মাসে ব্যাংকটির শেয়ার দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা সন্দেহজনক। ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। ডিএসইকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম প্রায় ৩৮ টাকা বা ১১৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংককে এস আলাম মুক্ত করার কারণে শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, ব্যাংকটির মালিকানা ফিরিয়ে নিতে দেশি-বিদেশি পুরোনো উদ্যোক্তারা আগ্রহী হতে পারেন, যা নতুন শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ করবে। বিএসইসি, ডিএসই ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এস আলম গ্রুপের হাতে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেএমসি বিল্ডার্স, বিটিএ ফাইন্যান্স, প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল এবং আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবরুদ্ধ শেয়ারগুলোর কারণে বাজারে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা কমে গেছে, যা দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ব্যাংকটির শেয়ারের ৩৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ছিল, আগস্টে তা কমে ০.১৮ শতাংশে নেমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাদ দেয়ার পর উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। তবে ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে যাওয়ার পর এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারধারীদের মধ্যে বড় অংশই এস আলম সংশ্লিষ্ট। এই অবরুদ্ধ শেয়ারের কারণে বাজারে শেয়ার সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, এবং এর ফলে একটি গোষ্ঠী সুযোগ নিয়ে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত