এফবিসিসিআইয়ের সব পদে সরাসরি নির্বাচনের দাবি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব পদে সরাসরি নির্বাচনসহ কোটা বা মনোনীত প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। একই সঙ্গে আমরা সংস্কার চাই, প্রথমে সংস্কার করতে হবে পরে নির্বাচন দিতে হবে। পর পর দুইবারের বেশি পরিচালক নির্বাচন করতে পারবে না। গত শনিবার রাতে মিন্টু রোডস্থ ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন হলে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ আয়োজিত আগামীর এফবিসিসিআই শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। মতবিনিময় সভায় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন রাজেশ, এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ, হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, আমির হোসেন, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, মাহবুবুল আলম রুনু, মেহেদী আলী, আনোয়ার হোসেন, টোয়াব সভাপতি রাফিউজ্জামান, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, এফবিসিসিআই সব সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র হবে। কোনো উৎসবের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হবে না। আমরা সংস্কার চাই, প্রথমে সংস্কার করতে হবে পরে নির্বাচন দিতে হবে। নমিনেটেড প্রথা বাতিল করতে হবে, দুইবার নির্বাচিত হওয়ার পর এক বছর বিরতি দিতে হবে। এসএমই খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা আরো বলেন, দুই বছর পর কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। নতুন নেতৃত্ব আসবে। তাহলে এফবিসিসিআইয়ে গণতন্ত্রের চর্চা হবে। জিবি মেম্বারদের ভোটে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হবে। এফবিসিসিআইয়ে জিবি মেম্বারদের মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ এফবিসিসিআই হবে জিবি মেম্বারদের আশ্রয়ের জায়গা। নতুন ভবনে অ্যাসোসিয়েশনের অফিস হবে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন রাজেশ বলেন, আজকের এই আয়োজনের মূল বিষয়বস্তু আগামীর এবিসিসিআইয়ের। আপনারা সবাই জানেন বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে আমাদের ঋণ নিতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরিবারের সদস্যদের ফিঙ্গার দিতে হয়। অথচ বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আগে এইসব মানা হয় নাই। সহজ শর্তে তাদের ঋণ দিত। আমাদের এনবিআর, কাস্টমস থেকে হয়রানির শিকার হতে হয়। ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমস, এসএসকোডের নামে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে চাই। সাধারণ ব্যবসায়ীদের কথা বলবেন না এরকম ব্যবসায়ী সংগঠন আমরা চাই না। তিনি বলেন, আমরা শক্তিশালী ও জবাবদিহিতামূলক এফবিসিসিআই চাই। গত নির্বাচনে প্যানেল দিয়ে আমরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই। ৪ কোটি ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমরা এফবিসিসিয়ের সংস্কার চাই। আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ওপর গত ১৬ বছর যে চাপ ছিল, সেজন্য আমাদের হাড় কালো হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতিতে এক শতাংশ অবদান রাখে এফবিসিসিআই। নিজেদের স্বার্থের জন্য নির্বাচিত করেছেন। যোগ্য ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের এখানে আসা উচিত। আমরা আবার জেগে উঠবো। কোনো না কোনোভাবে আমরা এগিয়ে যাবো। দুর্নীতিবাজ রাজনীতি ও দুষ্ঠু আমলাদের কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সাবেক পরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, গত ১৫ বছর স্বৈরাচার সরকারের দোসর যারা তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।