ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তাব জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এর পাশাপাশি আট দফা প্রস্তাব জানিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, গত দেড় দশকে এফবিসিসিআই কর্তৃক বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্ব শুধুমাত্র কর্পোরেট ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট হাউজগুলোর স্বার্থ রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিল, এখানে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এফবিসিসিআইয়ের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। গত ১৮ আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদ সদস্যরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আবেদন করেন এবং সরকার গত ১১ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেন। এ সময় আট দফা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে এর অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রস্তাবনার যৌক্তিকতার বিষয় উল্লেখ করে তারা বলেন, বিগত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনসমূহে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন, ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।