পোশাক শিল্পে অসন্তোষ চ্যালেঞ্জের মুখে বিজিএমই

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসার পর বেশ কিছু বিষয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম পোশাকশিল্প শ্রমিকদের অসন্তোষ। অনেক দিন ধরেই নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো সমাধান আসেনি। চলমান এই আন্দোলন মোকাবিলা এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বোঝাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা বোর্ডের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, এ শিল্পকে ধ্বংস করতে একটি গোষ্ঠী কলকাঠি নাড়ছে, বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও সরকারের কাছে তারা শিল্পের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরছে না এবং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

গত শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে সংগঠনটির নির্বাচনে অংশ নেয়া একটি গ্রুপ ফোরাম আয়োজিত এক সভায় সাধারণ গার্মেন্টস মালিকরা এসব অভিযোগ করেন। পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা নিরসনে করণীয় খুঁজতে ফোরাম এ সভার আয়োজন করে। সভায় ফোরাম সাধারণ সম্পাদক এবং নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ হোসাইনী বলেন, ‘পোশাক শিল্পে অস্থিরতা আগেও ছিল, তবে তা কখনোই এতো দীর্ঘায়িত হয়নি। এর পেছনে কাদের ইন্ধন থাকতে পারে। এরা শ্রমিক অসন্তোষের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধূলিস্মাৎ করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস করে অনেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেনি, বিদেশে টাকাপাচার করেছে। এদের কারণে বেকায়দায় থাকেন সত্যিকারের মালিকরা। এখন গোয়েন্দা সংস্থা পাসপোর্টের তথ্য চাচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে- এটাই কী গার্মেন্টস মালিকদের অপরাধ। বিজিএমইএ বোর্ড সরকারকে গার্মেন্টস শিল্পের প্রকৃত অবস্থা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।’ ডুকাটি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়ের মিয়া বলেন, ‘গত নভেম্বরে বেতন বাড়ানোর পর শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এখন আবার বেতন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। ১০ টাকা বেতন বাড়ানোর সক্ষমতা নেই অনেক মালিকের। বর্তমান বিজিএমইএ বোর্ড শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের সেই যোগ্যতা নেই। কারণ জোর করে, ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।’ সীমা ফ্যাশনের প্রোপ্রাইটর আবুল হোসেন বলেন, ‘সরকারের উপদেষ্টাদের গার্মেন্টস সম্পর্কে জ্ঞান নাও থাকতে পারে। এ অবস্থায় বিজিএমইএ বোর্ডও সরকারের কাছে সেক্টরের সমস্যা তুলে ধরতে পারছে না। তারা বোধ হয়, শুধু নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। আশুলিয়া এলাকায় আগস্টের বেতন ব্যাংক থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে দিতে হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে অনেক কারখানায় একদিনও কাজ হয়নি। সেসব কারখানা বেতন দেবে কীভাবে?’

বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘আশুলিয়া এলাকায় ২৫-৩০টি কারখানা এখনো বন্ধ আছে। একটি টাস্কফোর্স গঠন করে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।