বাংলাদেশ ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে সেরা পারফর্মারদের স্বীকৃতি প্রদান

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে অসাধারণ অর্জনের জন্য ২৫টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা লাভ করলেন ৩১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক পাক্ষিক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর। প্রোগ্রামে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। পার্টনার হিসেবে ছিল অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সী বাইটিকিটস, ভ্রমণ প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যাবর এবং জনপ্রিয় চায়ের ব্র্যান্ড হালদা ভ্যালি।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন (পাটা) চেয়ারম্যান পীটার এ. সীমন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আবু তাহের মো. জাবের, প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম আনোয়ার চৌধুরী এবং জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির। এওয়ার্ড প্রোগ্রামের লক্ষ্য ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের উন্নয়ন ও এক্সিলেন্স অর্জনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন এই এওয়ার্ড প্রোগ্রাম। অনন্য সাধারণ অর্জনের জন্য পেশাজীবীকে স্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মের পেশাজীবীদের অনপ্রাণিত করতে চাই যারা বাংলাদেশকে একটি শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখতে পারেন’। পাটা চেয়ারম্যান পীটার এ. সীমন আশা প্রকাশ করেন, ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন খাত বিকশিত হবে এবং যার মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ ইতিবাচকভাবে সমৃদ্ধ হবে’। তিনি আরো বলেন, ‘পাটা বাংলাদেশের এই যাত্রায় সহযোগি হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং মাত্রাতিরিক্ত পর্যটন হুমকি হ্রাসে বাংলাদেশকে টেকসই চর্চা অবলম্বন করতে হবে’।

মোট ১৮৪টি এন্ট্রির মধ্য থেকে, বিভিন্ন পেশা ও সামাজিক গ্রুপের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী জুরি বোর্ড বিজয়ীদের নির্বাচন করে। বিচার প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ছিল প্রেজেন্টেশনের গুণগত মান, অনলাইন পাবলিক ভোটিং, বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ অন্যান্য বিষয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনলাইনে রেকর্ড সংখ্যক ১০৮,০০০ হাজার ভোট পড়ে। বিজয়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা আলাদাভাবে সংযুক্ত করা হলো। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, ভ্রমণ পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিজনেস এলাইট, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।