টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিললেও চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবার দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ নয় কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। এর আগে গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। তবে চতুর্থ কার্যদিবস গত বুধবার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখীর দেখা মিলে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। এতে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে।
দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম কমার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। ফলে একদিকে সূচকের বড় পতন, অন্যদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।