ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড়

ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড়

ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে রপ্তানিতে ইএক্সপি ফরম পূরণ করতে হবে না। ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে এ ছাড় দেয়া হয়েছে, যা এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যেকোনো পণ্য বেসরকারিভাবে বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। গ্রাহকের পক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট অথোরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংক ওই ফরমের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। এদিকে, রপ্তানিকারকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে, রপ্তানি প্রক্রিয়ায় এখন ১৪ ধরনের নথি দিতে হয়। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ ৫০০ ডলারের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে। ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা টু ভোক্তাভিত্তিক রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সপ্রেস বা কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ এবং বিল অব এক্সপোর্ট ইস্যুসহ শুল্কায়ন সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতা পরিপালনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সব খরচ রপ্তানি আয় দিয়ে নিষ্পত্তি করার শর্ত প্রযোজ্য হবে। পণ্য জাহাজিকরণের পরেই বিল অব এক্সপোর্ট ও কুরিয়ার রিসিপ্টসহ রপ্তানি দলিলাদি ব্যাংকে দাখিলের পর প্রাপ্যতা অনুযায়ী রপ্তানি আয় ব্যাংক রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করা যাবে। ২০১৮ সালে পণ্য বিদেশে প্রেরণের মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তে ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় বিজনেস টু কনজুমার ভিত্তিক রপ্তানি পদ্ধতি প্রবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৯ সালে বিজনেস টু কনজুমার রপ্তানির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক উপায়ে ইএক্সপি ফরম দাখিলের ব্যবস্থা নেয়া হয়। ক্রসবর্ডার ই-কমার্স পদ্ধতিতে বিজনেস টু কনজুমারভিত্তিক ক্ষুদপরিসরে ঘোষণা ছাড়া ৫০০ ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির সুযোগ দেয়ার বিষয়টি দেশের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত