রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে গতকাল বুধবার রাতে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে আড়তদারদের কাছে এই ডিম পৌঁছে দেবে।
আড়তে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা। এই শর্তেই নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।
পোলট্রিশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পোলট্রিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কোঅর্ডিনেশন কমিটি বা বিপিআইসিসির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে ডিম উৎপাদনকারী বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবে।
এর মাঝে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেয়া হয়।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ‘যেহেতু কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগে আড়তে ডিম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই প্রতিটি ডিম বিক্রি হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। আড়তদারেরা সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন, এমন শর্তেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাপ্তান বাজারে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।’