গত মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার পর গতকাল বুধবার সকালে দাম আবার বেড়েছে। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত অর্থে কী ঘটতে যাচ্ছে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে দাম আবার বেড়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জ্বালানি তেলের অন্যতম মানদ- ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৩৯ ব্যারেল উঠেছে। সেই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৭০ দশমিক ৭৭ ব্যারেল উঠেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি কমে যায়। তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার পূর্বাভাস এবং ইসরায়েল ইরানের তেলক্ষেত্র ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাবে না আর তাতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি হবে না, এই ধারণা থেকে গতকাল তেলের দাম এতটা কমে যায়। ইসরায়েল এখন ইরানে হামলা না চালালেও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা কমছে না; এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সংকট চলমান। এদিকে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলার সমর্থন করে না তারা। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গতকাল দাম কমার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুদিনের জন্য স্থিতিশীল হবে। বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখন মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলি বুঝতে সময় নেবেন; সে জন্য দাম আপাতত স্থিতিশীল থাকবে। এদিকে চীন সরকার অর্থনীতি চাঙা করতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কী পরিমাণ প্রণোদনা দেয়া হবে এবং কোন খাতে, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় প্রকৃতপক্ষে চীনের তেলের চাহিদা কতটা, তা নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে। রয়টার্সের আরেক সংবাদে বলা হয়েছে, অর্থনীতি চাঙা করতে চীন আগামী তিন বছরে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ছেড়ে অতিরিক্ত ৮৫০ বিলিয়ন বা ৮৫ হাজার কোটি ডলার তুলতে পারে। এই সংবাদের পরও চীনের শেয়ারবাজারে তেমন সাড়া পড়েনি। এদিকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক ও ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্য তেলের চাহিদার পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে।