বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম গত শনিবার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ কমওয়ার্ড: এক্সিলেন্স ইন ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনের ১৩তম সংস্করণ। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে একটি জমকালো গালা আয়োজনের মাধ্যমে ১৪৬টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণাকে ২৬টি ক্যাটেগরিতে এই সম্মাননাটি প্রদান করা হয়। কমিউনিকেশনস এবং মার্কেটিং খাতে কর্মরত এবং অভিজ্ঞ প্রায় ৭০০ জনেরও অধিক অতিথির উপস্থিতিতে- ব্রোঞ্জ, সিলভার, গোল্ড এবং গ্র্যান্ড প্রিক্স এই চার বিভাগে সেরা বিজ্ঞাপন গুলোকে সম্মানিত করা হয়। এই বছর কমওয়ার্ডের জন্য ৭৯টি ক্রিয়েটিভ এজেন্সি থেকে ১৩৮০ টি মনোনয়ন জমা পড়ে।
১ জুন ২০২৩ হতে ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে উন্মোচিত এবং প্রচারিত ক্যাম্পেইন গুলো নমিনেশনের জন্য বিবেচিত হয়। ২৪টি অভিজ্ঞ জুরি প্যানেল প্রাথমিকভাবে ১৪টি শর্টলিস্টিং জুরি এবং পরবর্তীতে ১০টি গ্র্যান্ড জুরিতে বিভক্ত হয়ে বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। বিজয়ী ক্যাম্পেইনগুলোর যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করতে ১০ জন জুরি সভাপতি অধিকতর যাচাই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। ১৩তম কমওয়ার্ডে ২১টি গোল্ডেন, ৫০টি সিলভার এবং ৭৫টি ব্রোঞ্জ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই বছর কোনো গ্র্যান্ড প্রিক্স পদক প্রদান করা হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিজয়ীদের মধ্যে ব্যাকপেইজ পিআর ‘সিঙ্গার বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বুরাক ঔজচিভিত’র নাম উন্মোচিত’ ক্যাম্পেইনের জন্য পিআর ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছে।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “এই বছর কমওয়ার্ড আমাদের সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রমাণ, এমনকি চ্যালেঞ্জ এবং বাধার মুখেও। প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে এমন একটি পৃথিবীতে আমাদের শিল্পটি অসাধারণ সৃজনশীলতা দেখিয়েছে. এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সৃজনশীল বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুধু এগিয়ে যাচ্ছে না, বরং নেতৃত্ব দিচ্ছে।
কমওয়ার্ডের সহযোগিতায়, দ্বিতীয়বারের মতো বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান, এফসিবি বিটপি, এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম অগ্রদূত, রেজা আলীর সম্মানে ‘রেজা আলী ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট এওয়ার্ড সম্মাননাটি প্রদান করে।
মূলত, স্বাধীন এবং সৃজনশীল প্রচারণাকে উদযাপন করার লক্ষ্যেই এই সম্মাননাটি প্রদান করা হয়। এইবারের গালা আয়োজনে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাডকম লিমিটেডের ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরীকে বাংলাদেশের সৃজনশীল শিল্পে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।