সোনালী, জনতাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে গতকাল সোমবার। এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪ জন উপ-পরিচালককে (ডিএমডি) পদোন্নতি দিয়ে ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেয়া হবে। এসব ব্যাংকের এমডি নিয়োগের সার-সংক্ষেপে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুমোদন করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা প্রজ্ঞাপন তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমবার রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং ডিএমডিদের পদোন্নতির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ ও পদায়নের প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদিত সার-সংক্ষেপ অনুযায়ী- সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান, জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম।
এছাড়া, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের আরেক সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওদের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করেছে সরকার। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এসব ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ শূন্য রয়েছে।