ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অমিত শাহর সফর বাতিল

বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিদর্শন কর্মসূচি বাতিল হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে অমিত শাহের সফর উপলক্ষে দুই দেশের স্থলবন্দরে তিন দিনের জন্য (মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার) আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক কমলেশ শাহনি এই পরিদর্শন কর্মসূচি বাতিল হওয়ার খবর একটি চিঠির মাধ্যমে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির। তিনি জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করার কথা ছিল। সেই জন্যই বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর আগে, অমিত শাহের আগমনকে কেন্দ্র করে পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক মানের যাত্রী টার্মিনালসহ অন্যান্য অবকাঠামোর উদ্বোধনের জন্য এই তিন দিনের বিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে গত সোমবার রাতে নতুন করে জানানো হয় যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিদর্শন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে পূর্বের পরিকল্পিত ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান এই ব্যাপারে জানান, পেট্রাপোল বন্দরে নতুন স্থাপনার উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরিদর্শন কর্মসূচি বাতিল হওয়ায় এখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে পারছে। সাজেদুর রহমান আরো বলেন, ‘আমরা সাধারণত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফর বা অনুষ্ঠান উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখি। তবে কর্মসূচি বাতিল হওয়ায় এখন ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা স্বস্তি পেয়েছেন।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। দুই দেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক পণ্য নিয়ে এই পথে যাতায়াত করে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ দেয়া হলে ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়, বিশেষ করে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফর বাতিল হলেও ভবিষ্যতে এই স্থলবন্দরগুলোর আধুনিকীকরণ ও কার্যক্রম আরো উন্নত করার জন্য উভয় দেশের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বেনাপোল ও পেট্রাপোল স্থলবন্দর উভয়ই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে, এবং এই ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম যদি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা যায়, তবে বাণিজ্যের পরিমাণ আরো বাড়বে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কও মজবুত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত