ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে কার্ডধারীদের পাশাপাশি কার্ড ছাড়াও সাধারণ ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে টিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এখন টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টগুলো থেকে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।
কার্যক্রমের সময়সীমা : টিসিবি জানিয়েছে, এই কার্যক্রম আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না আসলে পরবর্তীতে কার্যক্রমের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হতে পারে। ঢাকা মহানগরীর ৫০টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ২০টি ট্রাকে করে এসব পণ্য সরবরাহ করা হবে। ভোক্তারা প্রতিবারের মতো ন্যায্যমূল্যে ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তেজগাঁও শিল্প এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ি (দীপিকার মোড়) থেকে শুরু হবে। টিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি মূলত নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখার একটি প্রচেষ্টা। এতে বলা হয়, ‘বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তাদের সাহায্য করতে টিসিবি নিয়মিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল, ডাল এবং তেল বিক্রয় করছে।
এবার কার্ডধারী এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।’ এই বিশেষ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা। সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে টিসিবির এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মূল লক্ষ্য হলো, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দেয়া। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের পণ্য কেনা সহজ হবে এবং বাজারের ওপর চাপও কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সরকার এ ধরনের উদ্যোগ আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যদি বাজার পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে না আসে।