বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন বিটিআরসির সিম মালিকানার সময়সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে গ্রাহকদের স্বার্থবিরোধী বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে যে, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় মুঠোফোন অপারেটরদের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়া হলেও গ্রাহকদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিটিআরসি মুঠোফোন অপারেটরদের দাবির প্রেক্ষিতে সিমের মালিকানার সময়সীমা কমিয়ে এনেছে।
তবে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে গ্রাহকদের মতামত নেয়া উচিত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। পূর্বে, অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রি বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন, যার মধ্যে ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই সময়সীমা কমিয়ে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন করা হয়েছে এবং নোটিশ পিরিয়ড মাত্র ৩০ দিনে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
সংগঠনের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, প্রায় ৩ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকেন। যারা দুই থেকে তিন বছর পর দেশে ফিরে আসেন, তারা প্রায়ই দেখেন তাদের সিম বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, তাদের দেয়া পুরোনো নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট বা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সংযুক্ত থাকায় তারা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এমনকি অনেক সময় দেখা যায়, তাদের পুরোনো নম্বরটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতি গ্রাহকদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, রোমিং সেবা সহজ না হলে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে। পাশাপাশি, অপারেটররা যদি বিকল্প নম্বর সরবরাহ করে এবং সঠিকভাবে গ্রাহকদের ফোন, মেসেজ বা ই-মেইলের মাধ্যমে সতর্ক করে দেয়, তাহলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তবে, বর্তমান পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বিটিআরসির উচিত ছিল গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেয়া এবং তা যথাযথভাবে বিবেচনা করা।