ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার নতুন করে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে যে, বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জনগণের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জনগণের মাঝে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠানের ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমদানির এই অনুমতি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
১২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া আমদানির পরিমাণ : যে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো- এটকম ইন্টারন্যাশনালকে ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট ৫০ লাখ ডিম আমদানি করতে পারবে। এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড এবং মের্সাস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজও ৫০ লাখ করে ডিম আমদানি করবে। এএমআই এন্টারপ্রাইজ ৫ লাখ, মিতা এন্টারপ্রাইজ ৩ লাখ, এবং থ্রী স্টার এন্টারপ্রাইজ ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে। ইমিকো ট্রেডিং কোং এবং বারাকাহ ইমেক্স অ্যান্ড ট্রেডিং ৫০ লাখ এবং ৩০ লাখ ডিম আমদানির সুযোগ পেয়েছে। মান্নাত ট্রেডিং ৫০ লাখ, জারিন ট্রেডিং করপোরেশন ২ লাখ, এবং এ আর থ্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৩০ লাখ ডিম আমদানি করবে।
ডিম আমদানির শর্তাবলি : সরকার ডিম আমদানির জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত আরোপ করেছে, যা আমদানিকারকদের মেনে চলতে হবে। শর্তগুলো নিম্নরূপ- ১. বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চলা: রফতানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বার্ড ফ্লুমুক্ত জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।