সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ করেছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ২০২৪ সালে বিপণনে মোট বিক্রয় দাঁড়িয়েছে ৩.৬ বিলিয়ন, যা গত বছরের চেয়ে ৭.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রয় বৃদ্ধি হলেও তা প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। আলোচ্য সময়ে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং আগস্টের শেষে দেশের পূর্বাঞ্চল ও সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে মারাত্মক বন্যা ছিল তার অন্যতম কারণ। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মোট মুনাফা হয়েছে ৯৯৭.৩ মিলিয়ন টাকা, যা গত বছরের ৯৯১.২ মিলিয়ন টাকার চেয়ে কিছু বেশি। তবে, স্থানীয়ভাবে সংগ্রহকৃত এবং বাণিজ্যিকভাবে বিক্রিত পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধির কারণে মোট মুনাফার হার বিগত বছরের ২৯.৫% থেকে কমে ২৭.৬% হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের পরিচালন খরচ ২১.৬% বেড়েছে। বিজ্ঞাপন, বিক্রয়ের জন্য প্রচার-প্রচারণা, নতুন আউটলেট পরিচালনা এবং নতুন কারখানার রক্ষণাবেক্ষণ ও আইটি সংক্রান্ত খরচের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার পরিচালন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর অর্থায়ন ব্যয় ১৩৮.৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬৪.৯ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১৫৩.১ মিলিয়ন। ব্যাংক সুদর হার ৪% এর বেশি বৃদ্ধি এবং স্বল্প মেয়াদি ঋণের ব্যবহার ৫৫.৩% বৃদ্ধির কারণে এটা হয়েছে। কর পরবর্তী মুনাফা (ক্ষতি) (১৮৫.৪ মিলিয়ন টাকা) হয়েছে এবং যা ২০২৩ সালের ৮৭.৭ মিলিয়ন টাকা ছিল। এছাড়া শেয়ারের প্রতি আয় ০.৮৮ টাকা থেকে (১.৮৬ টাকা) হয়েছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিক স্বল্প মুনাফার কারণে ২০২৪ এর জন্য চূড়ান্ত করের হার ৩১.৫% থেকে ৫৯.৩% হয়েছে।
শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে (৭.৩৬ টাকায়), যা ২০২৩ সালে ইতিবাচক ছিল। রাজনৈতিক সংকট এবং বন্যার কারণে বিক্রয়ের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আলোচ্য ত্রৈমাসিকে সিঙ্গারকে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি খোলার সমস্যা, ঋণের খরচ বৃদ্ধি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে, সিঙ্গার তাদের পণ্য নিয়ে এখনো বাজারে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে। সিঙ্গার বাজারে তার অবস্থান সুসংহত করতে নানান ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।