ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চীনের প্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ নীতিমালা চূড়ান্ত

কার্যকর জানুয়ারিতে
চীনের প্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ নীতিমালা চূড়ান্ত

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো কতটা বিনিয়োগ করতে পারবে, সে বিষয়ক নিয়মকানুন চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মনে করে, চীনের এসব খাতে বিনিয়োগ তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে চলতি বছরের জুন মাসে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করেছে। নির্বাহী আদেশে মূলত তিনটি খাতে বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেকট্রনিকস কোয়ান্টাম ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক অন্যান্য খাত। খবর রয়টার্সের । আগমী ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নবসৃষ্ট বিভাগ অফিস অব গ্লোবাল ট্রানজেকশনস বিষয়টি দেখভাল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ এসব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ সীমিত করার যুক্তি হিসেবে বলেছে, ভবিষ্যতের সামরিক ও নিরাপত্তা অভিযানে এসব ব্যবহৃত হবে। তারা মনে করছে, সামরিক বাহিনী, সাইবার নিরাপত্তা, নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতার আধুনিকায়নে এসব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। ফলে এসব প্রযুক্তি কার হাতে থাকবে, তার সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার সম্পর্ক আছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পল রোজেন বলেন, এই বিধিবিধানে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও সামরিক হার্ডওয়্যার আছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি দিয়ে গুপ্ত সংকেতব্যবস্থা ভেঙে ফেলা সম্ভব। যে সামরিক হার্ডওয়ারের কথা বলা হয়েছে, তা দিয়ে আগামী দিনের যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে। মোদ্দাকথা হলো, যেসব দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে, সেসব দেশকে উচ্চ প্রযুক্তি বিকাশে যুক্তরাষ্ট্র কোনো রকম সহায়তা করবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত