বদলে যেতে পারে আয়কর দিবস

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে আয়কর দিয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস উদযাপন করে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবার বদলে যাচ্ছে আয়কর দিবস। জাতীয়ভাবে উদযাপনে রিটার্ন দাখিলের শেষদিনের বাইরে ভিন্ন কোনো দিনকে জাতীয় আয়কর দিবস ঘোষণা দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে এনবিআর। গত ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বরকে আয়কর দিবস হিসাবে উদযাপন করা হচ্ছে, এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস উদযাপিত হতো। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিনকে আয়কর দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। তবে ওই দিন কর অফিসগুলো যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে কারণে আমরা ভাবছি ভিন্ন কোনো দিন জাতীয়ভাবে আয়কর দিবস হলে উদযাপন ও উৎসবের আমেজ বৃদ্ধি পাবে। ১৬ বছর থেকে রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপিত আসছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আয়কর দিবস পালন করা হয়। ওই বছর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপিত হতো। এরপর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর। এদিন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেয়ারও শেষ দিন। আয়কর নির্দেশিকা ২০২৩-২৪ অনুযায়ী ৪৪ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করে এনবিআর। যে কারণে রিটার্ন দাখিলের বিকল্প নেই ই-টিআইএন ধারীদের। তা না হলে পড়তে হবে নানা জটিলতায়। দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৭ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা দেয়া হয়েছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৭ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে। সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।